পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক নব দিগন্ত কারী প্রকল্প হল কৃষক বন্ধু প্রকল্প। ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গএর চাষী ভাই দের এক অনন্য উপহার হলো কৃষক বন্ধু প্রকল্প। যেটি শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, এক বছর পর সেটি পরিপূর্ণতা পায়।
ভারত বর্ষ যেহেতু কৃষি প্রধান দেশ, তাই চাষীদের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষক বন্ধু প্রকল্পটি শুরু করেন। বর্তমানে এই প্রকল্পটি চাষী ভাইদের কাছে এক নির্ভরযোগ্য প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চাষীদের কে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা জানতে সহায়তা করেছে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে চাষী ভাইরা বছরে দুইবার আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন, এবং রবি সময় ,খারিফ সময় সাধারনত আষাঢ় এবং শ্রাবণ, রবি সময় জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি পৌষ মাঘ অর্থাৎ শীতকালীন সময়কে রবী সিজন, আর আষাঢ় শ্রাবণকে খরিফ সিজেন বলা হয়ে থাকে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে খরিফ সময়ে ও রবী সিজনে সরকার আর্থিক সহায়তা করে থাকেন। আর এই প্রকল্পে যে কৃষকদের জমির পরিমাণ এক একরের বেশি, তারা দুইবারে 5000 করে দশ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।
অন্যদিকে যাদের জমির পরিমাণ ৪০ শতক অর্থাৎ এক বিঘার কম তারা বছরে দুই হাজার করে চার হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। জেনে রাখা ভালো যাদের জমির পরিমাণ 40 শতকের ঊর্ধ্বে, তারা শতকে পঞ্চাশ টাকা করে বেশি পান।
এই প্রকল্পের অন্য একটি বড় সুবিধা হল, ৬০ বছরের মধ্যে কোন চাষী আকস্মিক মৃত্যু হলে, তার পরিবার এককালীন দু লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য :- কৃষি প্রধান দেশ হলো ভারত বর্ষ, কৃষির উপর ভরসা করে জীবিকা নির্বাহিত হয়, আর এই কৃষির উপর নির্ভর করে ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক পরিকাঠাম।
বর্তমানে সব জিনিসের কম্পিটিশন যেমন বেড়েছে, কৃষি ফসলের ও কম্পিটিশন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আর সেই কম্পিটিশন করতে গিয়ে চাষিরা হচ্ছে ঋণ গোস্ত।যেকোনো চাষবাসের ক্ষেত্রে উন্নত বীজ উন্নত সার উন্নত কৃষিজ ঔষধ কিনতে চাষীদের একেবারেই নাভিশ্বাস হয়ে থাকে।
তারপর ফসলের সঠিক দাম না পাওয়া, সব বছর চাষিরা লাভের মুখ সেই ভাবে আর দেখতে পায় না।
তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষি কার্যে চাষীদের কে উৎসাহিত করতে এই প্রকল্প নিয়ে আসেন।
''কারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে ''
আবেদনকারী কে একজন কৃষক হতে হবে, আর আবেদনকারী অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের হতে হবে।
আবেদনকারীর চাষ যোগ্য জমির রেকর্ড বা দলিল, বা পাট্টা থাকতে হবে। আবেদনকারী র ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে। রেকর্ড ভুক্ত কোন চাষীর মৃত্যুর পর ওয়ারিশ হিসেবে তার ওয়ারিশ করতে পারবেন কৃষক বন্ধু।