Labels Max-Results No.

জৈব চাষ

 

                 জৈব চাষ 



স্বাধীনতার পর কৃষি উৎপাদনে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।  মানুষের মুখে দুই মুঠো খাবার তুলে দিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের মতো দ্রুত লাভজনক কৃষি উপকরণকে অন্ধের মতো চেপে ধরেছে। 1952-53সালে দেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের পরিমাণ ছিল 52 মিলিয়ন টন এবং তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র 70 হাজার টন রাসায়নিক সার। চাহিদা ও সরবরাহের টানাপড়েনের কারণে 1999-2000 সালে দেশে মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল 206 মিলিয়ন টন এবং এর জন্য মাত্র 18 মিলিয়ন টন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে। ফসল মাটি থেকে 28 মিলিয়ন টন খাদ্য কণা অপসারণ করেছে। অর্থাৎ রাসায়নিক সার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়নি বরং  অনিয়মিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

 গত পঞ্চাশ বছরে কৃষিতে যে হারে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়েছে তার চেয়ে দ্রুত হারে কমেছে জৈব সারের ব্যবহার। ফসলের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে চারণভূমি হ্রাস পেয়েছে, ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং গোবর অকৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বা অব্যবহারের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে দিন দিন মাটিতে জৈব পদার্থের মজুদ কমে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই জমি খুব দ্রুত তার উর্বরতা হারাচ্ছে, মাটি তার স্বাস্থ্য হারাচ্ছে। ফলে কৃষকরা আজ প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ব্যবহার করেও আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন না। দিনের পর দিন, রাসায়নিক সার, কীটনাশক,  ইত্যাদি প্রয়োগের ফলে মাটি তার প্রাকৃতিক গঠন, সমন্বয়, জল ধারণ ক্ষমতা, ক্ষারত্ব হারিয়ে ফেলছে। মাটিতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার অভাব দেখা দিচ্ছে।  

 এ অবস্থায় চাষের  কিছু পদ্ধতির কথা ভাবা হচ্ছে। জৈব কৃষি সেই চিন্তার ফসল। কারণ আমরা চাই সবার জন্য খাদ্য, সবার জন্য পুষ্টি এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ। আবার, মাটিকে রক্ষা করা জরুরী, যা পৃথিবীর খাদ্যের প্রধান উৎস এবং মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। 

উল্লেখ আছে-সব মৃত বস্তুই পচন ক্রিয়ার মাধ্যমে জীবনের প্রতিপালনী শক্তি হিসাবে কান্ড কবে। 600 খ্রীঃ পূর্বাব্দতে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে প্রাণীর মলমূত্র, খইল সহ নানা উল্লেখ পাওয়া যায়। বরাহ মিহিরের সংহিতাতে বিভিন্ন ফসলে জৈবসারের নির্বাচন ও ব্যবহার বিধির উল্লেখ রয়েছে। 2500 খ্রীষ্ট পর্বাব্দে ঋকবেদ-এ জৈবসার, সবুজসার এর উল্লেখ করে বিরি হয়েছে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল বৃদ্ধির জন্য ফসল ক্ষেতে ছাগল, ভেড়া, গোরুর মলমূত্র, জল এক এলা কি মাংসও প্রয়োগ করা উচিৎ।  জৈবসারের

পরবর্তীকালে স্যার অ্যালবার্ট হাওয়ার্ড (1930) জমিতে কম্পোস্ট প্রয়োগ করে সর্ব প্রথম আধুনিক জৈব খামার শুরুর ধারণা দিয়ে ছিলেন বলে তাঁকে আধুনিক জৈব কৃষির জনক বজা আধুনিক পরে জার্মান আধ্যাত্মবাদী দার্শনিক রুডলফ স্টেইনার বায়োডায়নামিক ফার্ম গড়ে তোলেন। 

1950 সালে আমেরিকায় জে.আই. রোডেল টেকসই বা সুস্থায়ী কৃষি এবং জৈব চাষ চালু করেন। ওই সালেই জার্মানীতে প্রতিষ্ঠিত হয় জৈব কৃষি আন্দোলনের আন্তর্জাতিক সংঘ (IFOAM)। 1975 সালে জাপানের স্বনামধন্য অণুজীব বিজ্ঞানী মাসানোবু ফুকোওকা 'ওয়ান স্ট্র রিভোলুশন (One Straw Revolution) নামক বইটি প্রকাশ করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন 1999 সালে জৈব খাদ্যের আইন প্রচলন করে (EU Regulation) এবং 1999 সালে প্রবর্তিত হয় জৈব মান এর আন্তর্জাতিক দিক নির্দেশিকা কোডেক্স (CODEX)। ভারতবর্ষে 2003 সালে মধ্যপ্রদেশের গাজিয়াবাদে প্রতিষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ্ অর্গানিক ফার্মিং। APEDA, Spices Board, Coconut Dev. Board, Dte. of Cashew and Cocoa'র মতো সরকারী সংস্থা এবং আধাসরকারী ও বেসরকারী জৈব সংস্থার জন্য বেঁধে দেওয়া হয় জৈব উৎপাদনের মানদন্ড 'ইন্ডিয়া অর্গানিক'। 

                                                                  

                                                             

জৈব কৃষি কি ?

জৈব কৃষি হল জৈব উপকরণের সমন্বয়ে চাষবাস-শিল্পজাত তথা রাসায়নিক উপকরণ ও জিন পরিবর্তিত ফসল ব্যতিরেকে চাষবাস ,স্থানীয় প্রযুক্তি ও সহজলভ্য উপকরণগুলি ব্যবহারকরে  উৎপাদন ব্যবস্থা বজায় রাখা, ফসলের অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ দিয়ে বাকি জৈববস্তুর পুনরাবর্তনের মাধ্যমে চাষবাস। কৃষি বাস্তুতন্ত্রের স্বাভাবিক গতি বজায় রাখা, জৈব বৈচিত্র ও জৈবচক্র, মাটির মধ্যের জীবন্ত বস্তুর ক্রিয়া বজায় রাখা, শস্য রক্ষায় পরিচর্যাগত, জৈবিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতির সার্বিক সমন্বয় ঘটানো; শুধুমাত্র চাষবাস নয়, মিশ্র খামার পদ্ধতি অর্থাৎ একই সঙ্গে কৃষি, প্রাণী পালন, মাছ চাষ প্রভৃতির সমন্বয় ঘটানো। ফলে, জৈব কৃষির অন্যতম লক্ষ্য জৈববস্তুগুলির কার্যকরী ব্যবহার ও পুনরাবর্তন করা।

মাটিকে উদ্ভিদ খাদ্যে সমৃদ্ধ করতে হলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বন্ধ, ফসলের অবশিষ্টাংশ ক্ষেতে আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার, জৈব ও জীবাণুসার ব্যবহার, ফসলের পর্যায়ক্রমিক চাষ, একাধিক ফসল চাষ, মাটির উপর সর্বদা সবুজ আচ্ছাদন বজায় রাখা, অত্যধিক কর্ষণ বন্ধ করা প্রভৃতি প্রয়োজন।


জৈব সারের উল্লেখযোগ্য উপকারী বৈশিষ্ট্যগুলি হল , খাদ্যপ্রাণ গুলি ধীরে ধীরে মুক্ত হয় ও গাছের গ্রহণযোগ্য অবস্থায় আসে। ফলে, এই সার দীর্ঘদিন ধরে কার্যকরী থাকে,,  মাটির ভৌত ধর্মের মান যেমন, গঠন,  জলধারণ ও বায়ুচলাচল ক্ষমতা ইত্যাদির উন্নতি ঘটায় ,,মাটির প্রাণ 'হিউমাস' গঠন করে,  মাটিতে বসবাসকারী উপকারী জীবাণুগুলির বংশবৃদ্ধি করে,, জৈবসার হল প্রকৃতিগতভাবে সুষম সার এবং এতে প্রয়োজনীয় প্রায় সব খাদ্যগুণই অল্প বিস্তর   থাকে,, কচুরীপানা, ধানের খড়, তুষ ইত্যাদি জৈব আচ্ছাদনের কাজ করে।

জৈব সারের বৈচিত্রও কম নয়। গোবর সার, খোল, কেঁচো সার, পোলট্রি সার, কম্পোস্ট সার, আবর্জনা সার, হাড় গুঁড়ো, শিং গুঁড়ো প্রভৃতির প্রয়োগ যথেষ্ট কার্যকরী ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।


জৈব বস্তুর পুনরাবর্তন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন, ঘরোয়া অথচ অর্থবহ প্রযুক্তি। গবাদি পশুর মলমূত্র, ফসলের ফেলে দেওয়া বা অপ্রয়োজনীয় অবশেষ (crop residues), সবুজ লতা-পাতা, আগাছা ইত্যাদি খামারের সার বা কেঁচো সার রূপে ক্ষেতে প্রয়োগ করার প্রচলিত পদ্ধতিকে বিস্মৃত না হয়ে আরও পরিশীলিত, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বিচার করে প্রয়োগ করতে হবে।

জীবাণু সারের ব্যবহার জৈব কৃষি ক্ষেত্রে যুগান্ত সৃষ্টি করার শক্তি ধরে। উপযুক্ত পরিকাঠামো, উৎপাদন, উন্নত মানের জীবাণুসারের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ এবং উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে তেমনভাবে প্রসার লাভ না করলেও জীবাণুসারের উপকারিতা এক প্রতিষ্ঠিত সত্য। শুধুমাত্র প্রয়োজন কৃষকের সচেতনতা বৃদ্ধি, সহজলভ্যতা আর উপযুক্ত গুণমানের সরবরাহ। তাহলেই কম খরচে, কম মেহনতে রাসায়নিক সারের একটা ভালো বিকল্প পাওয়া যাবে জীবাণুসারের মধ্য দিয়ে।

সময়মতো নীল সবুজ শ্যাওলা ও অ্যাজোলা চাষ করে জমির মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে ভালো পরিমাণ উদ্ভিদ পুষ্টির সাথে সাথে জৈবসার যোগ করা যায়। তরল সার প্রয়োগ জৈব কৃষিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সার সহজে গাছ গ্রহণ করতে পারে, উদ্ভিদ খাদ্য খুবই সহজলভ্য অবস্থায় পাওয়া যায়। তরলসারের সঙ্গে ফসলের অবশিষ্টাংশও মেশানো হয়। প্রতিটি ফসলে একর প্রতি 200 লিটার। করে তরল সার 3/4 বার করে সেচ বা বৃষ্টির পরে পরে প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, গরুর মূত্র ও ভার্মি ওয়াশ প্রতিটি ফসলে 2/3 বার স্প্রে করা হয়। পরীক্ষিত এবং সুপারিশকৃত কয়েকটি তরল সার হল 👇


সঞ্জীবক:-    20কেজি গোবর,10লিটার গোমূত্র, 500 গ্রাম ঝোলা গুড়, 30 লিটার জলে গুলে আবদ্ধ ড্রামে 10 দিন পচানো হয়। তারপর ওই মিশ্রণ জল মিশিয়ে 20 গুণ বৃদ্ধি করে মাটিতে বা সেচের সঙ্গে প্রয়োগ করা হয় এক একর জায়গাতে।


জীবাশ্রুত:-10 -12কেজি গোবর, 10 লিটার গোমূত্র, 2 কেজি ঝোলা গুড়, 2 কেজি গমের ময়দা ও 2 কেজি জীবন্ত-বস্তু যুক্ত মাটি 200 লিটার জলে গুলে 4/8 দিন পচানো হয়। পচানোর সময় প্রত্যহ ৩ বার দ্রবণটিকে নাড়ানো হয়। ঐ মিশ্রণ সেচের জলের সঙ্গে মিশিয়ে এক একরে প্রয়োগ করা হয়। একটি ফসলে মোট ৩ বার প্রয়োগ করা উচিৎ। প্রথমবার বীজ বোনার আগে, দ্বিতীয় বার বীজ বোনার 20 দিন পর এবং তৃতীয় তথা শেষ বার 45 দিন পর।


পঞ্চগব্য:- 4 কেজি গোবর গোলা, 1 কেজি টাটকা গোবর, 3 লিটার গো-মূত্র, 2 লিটার গোরুর দুধ, 2 লিটার দই, 1 কেজি মাখন অয়েল মিশিয়ে 7 দিন আবদ্ধ পাত্রে পচানো হয়। প্রত্যহ 2 বার করে নাড়ানো হয়। 20লিটার পঞ্চগব্য জলে গুলে 650 লিটার মিশ্রণ 1( acre) একরে স্প্রে করা হয়। বীজ শোধনের কাজেও এটি ব্যবহার করা যায়।


সমৃদ্ধ পঞ্চগব্য: 1 কেজি টাটকা গোবর, 3 লিটার গোমূত্র, 2  লিটার গোরুর দুধ, 2 লিটার দই, 1 কেজি দেশি ঘৃত, ৩ লিটার আখের রস, ৩ লিটার নারকেলের জল, ১২টি কলা একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে আবদ্ধ পাত্রে 7 দিন পচানো হয়। 20 লিটার এই মিশ্রণ 650 লিটার জলে গুলে 1 একর জমির মাটির ওপরে স্প্রে করে সেচ দেওয়া হয়।


মাটিকে উদ্ভিদ খাদ্যে সমৃদ্ধ করে জৈব কৃষির উপযোগী করার কয়েকটি পদ্ধতিঃ

কম খরচের উপকরণ ব্যবহার: প্রথম বছর পর পর তিনটি ডালজাতীয় ফসল বিভিন্ন জমিতে লাগানো হয়। প্রথমটি 60 দিনের, দ্বিতীয়টি 90/120 দিনের এবং তৃতীয়টি 125 দিনের বেশি মেয়াদি হওয়া দরকার। ফসল হিসাবে কেবলমাত্র শুটিগুলি তুলে নেওয়া হয়।

ফসলেব অবশিষ্টাংশ ও উপড়ানো আগাছা ফসল ক্ষেতে মাটির আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার কর হয়। দ্বিতীয় বছরে একর প্রতি 20 কুইন্টাল জৈবসার প্রয়োগ করে একটি তন্ডুল শসা ও এক ডাল শস্য পাশাপাশি বা সাথী ফসল হিসাবে চাষ করা হয়। ফসল তোলার পরে ধানের শীষ ও ভালশস্যের শুটি সংগ্রহ করে বাকি অংশ মাটির আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সেচের ব্যবস্থা থাকলে এরপর একটি গ্রীষ্মকালীন ডালশস্য কিছু সবজির সঙ্গে করা যাবে। ফসলের অবশিষ্টাংশ সব সময়  আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ফসলে ৩-৪ বার তরল সার মাটিতে প্রয়োগ করা হয়।

বেশি খরচের উপকরণ ব্যবহার একর প্রতি 10 কুইন্টাল কম্পোস্ট / কেঁচোসার, 200 কেজি খোল, 200 কেজি রক ফসফেট, 40কেজি নিম খোল, 6 কেজি পি এস বি জীবাণুসার 3/4 রকমের ফসল ফালিতে লাগানো হয়। ৪০ শতাংশফসল হবে জাতীয় / ডাল জাতীয়। ফসল তোলার পর দানা ও বীজ সংগ্রহ করে বাকী অংশ পরবর্তী ফসলের জমিতে আচ্ছাদন হিসাবে কাজে লাগানো হয়। প্রথমবারের মতো একই পরিমাণ পর প্রয়োগ করে দ্বিতীয় ফসল লাগানো হয়। প্রতিটি ফসলে 3/4 বার 200 লিটার করে তরল সার প্রয়োগ করা হয়।

12/18মাসের মধ্যে মাটি যেকোন ফসল চাষের উপযোগী হয়ে যায়। পরবর্তী 2/3 বছর সব সময় ডালশস্যকে সাথী ফসল হিসাবে লাগানো হয়। মাটির আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহৃত ফসলের অবশিষ্টাংশের 30 শতাংশ ডালজাতীয় ফসলের অবশিষ্টাংশ হওয়া উচিৎ। ফসলের অবশিষ্টাংশ মাটির মধ্যে প্রয়োগ বা আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহারের আগে তরল সারের সঙ্গে মাখানো হয়।

জৈব কৃষিতে জৈব ও বীজানুসার এর প্রয়োগ


গোবর সার, খামারের সার, কম্পোস্ট সার, কেঁচোসার, নানাধরণের খইল বা খোল সার, হাড়ের গুঁড়ো,  ইত্যাদি জৈব সারের পাশাপাশি নাইট্রোজেন , ফসফেট দ্রাবক, পটাশ দ্রাবক, সালফার দ্রাবক নানা ধরণের জীবাণুসার প্রয়োগে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ানো সম্ভব।  

(1) সরাসরি জমিতে অ্যাজোলা জন্মিয়ে প্রতি একরে 10 টন অ্যাজোলা থেকে সরাসরি 25 কেজি নাইট্রোজেন যোগ করা যেতে পারে। সমপরিমান নীল সবুজ শ্যাওলা থেকেও 20/25 কেজি নাইট্রোজেন যোগ হ'তে পারে। (২) জীবাণুসার প্রয়োগ করে 20/30কেজি নাইট্রোজেন এবং 12/20 কেজি ফসফরাস গাছের গ্রহণযোগ্য অবস্থায় এনে দেওয়া যায়। (ক) নাইট্রোজেন ঘটিত জীবাণুসার যেমন: রাইজোবিয়াম (শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের জন্য), অ্যাজোটোব্যাক্টব, অ্যাজোস্পাইরিলাম ইত্যাদি বাতাসের মুক্ত নাইট্রোজেন গাছের শিকড়ে
বা মাটিতে আবদ্ধ করে গাছের গ্রহণযোগ্য অবস্থায় এনে দেয়। 

 (খ) ফসফরাস দ্রাবক জীবাণুসার (ফসফোব্যাকটেরিয়া) প্রয়োগে মাটিস্থিত অদ্রবনীয় ফসফরাস গাছের গ্রহণযোগ্য অবস্থায় আসে। (ঘ) তেমনই ফ্রাটুরিয়া অরাশিয়া নামক জীবানু মাটিস্থিত অদ্রবনীয় পটাশকে গাছের গ্রহণযোগ্য অবস্থায় এনে দেয়।  (3) সবুজ সারের চাষ করে 30/40 দিন বয়সী গাছ মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে প্রচুর পরিমান জৈব পদার্থের পাশাপাশি 20/30 কেজি নাইট্রোজেন মাটিতে যুক্ত হয়। যেমন, ধইঞ্চা চাষে প্রতি একরে 70 কুইন্টাল জৈবসার ও 20/25 কেজি নাইট্রোজেন, শন চাষে সমপরিমান জৈবসার ও 14/15 কেজি নাইট্রোজেন, সেব্জি চাষে 9/100 কুইঃ জৈব সার ও 50/60 কেজি নাইট্রোজেন এবং বারসীম চাষে 70 কুইঃ জৈবসার ও 30/35 কেজি নাইট্রোজেন যুক্ত হয়। 

সাধারণভাবে জৈবসার প্রস্তুত করার পাশাপাশি উন্নতমানের ভার্মিকম্পোষ্ট, ফসফো কম্পোষ্ট বা সুপার কম্পোষ্ট সার তৈরী করা যায় অতি সহজেই। এই ধরনের জৈবসার শুধু যে অতিদ্রুত তৈরী করা যায় তাই নয়, এতে গাছের খাদ্য গুণও অধিক ও সুষম পরিমানে থাকে। জৈবসার প্রস্তুতির বিভিন্ন ধাপে সুপার ফসফেট বা রক ফসফেট মিশিয়ে সুপার বা ফসফো কম্পোষ্ট এবং অ্যাস্পারজিলাস, পেনিসিলিয়াম, ট্রাইচুরাস ইত্যাদি জীবানু মিশিয়ে জীবানু কম্পোস্ট তৈরী করা হয়।

কচুরীপানা, খড়, তুষ ইত্যাদি জৈব আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে যেমন বিভিন্ন ধরনের সব্জী সহ তৈলবীজ, ডালশস্য ইত্যাদি ফসল চাষে সার ও সেচ এর সাশ্রয় হবে তেমনই ঐ জৈব আচ্ছাদন ক্রমে ক্রমে পচে মাটির সাথে মিশে যাওয়ার ফলে মাটিতে জৈব পদার্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে এবং ফসল কিছুটা হলেও খাদ্য উপাদান সংগ্রহ করতে পারবে। জৈব আচ্ছাদনের অতিরিক্ত লাভ হলো আগাছা নিয়ন্ত্রনে থাকবে ফলে, সার ও জলের অপচয় রোধ হবে এবং পরিচর্যাজনিত তথা উৎপাদন খরচও কম হবে।

বহুমুখী ফসল ও ফসলচক্র:- জৈব কৃষিতে একটি মাত্র ফসল চাষের কোনো সুযোগ নেই।

প্রতিটি খামারে 8/10 কমের ফসল থাকা উচিত এবং প্রতিটি প্লটে 2/4 রকমের ফসল থাকা উচিত, যার মধ্যে একটি হবে ডালজাতীয়। যদি কোনো কারণে একটি প্লটে একটি ফসল নেওয়া হয়, তাহলে পাশের প্লটটি বিভিন্ন ফসল যুক্ত হবে। 3/4 বছর ব্যপী ফসলচক্র মেনে চলা উচিত। উচ্চ খাদ্য চাহিদা যুক্ত প্রতিটি ফসলের আগে ও পরের ফসল ডাল জাতীয় হবে। এমনকি উচ্চ খাদ্য চাহিদার আখ, ডালশস্য ও সবজির সাথী ফসল হিসাবে চাষ করা যায়।

উদ্ভিদ খাদ্যে সমৃদ্ধ ও সক্রিয় জৈব মাটি: একটি সক্রিয় ও উর্বর জৈব মৃত্তিকাতে ন্যূনতম 0.8/1.5 শতাংশ জৈব কার্বন থাকবে। যে কোনো সময়ে যথেষ্ট পরিমাণে শুকনো, অর্ধ পচা ও পুরো পচা জৈববস্তুর প্রয়োগে প্রতি গ্রাম মাটিতে 1 × 100 সংখ্যক জীবাণু থাকা প্রয়োজন। প্রতি ঘন ফুট মাটিতে 3/5 টি কেঁচো থাকবে এবং মাটিতে যথেষ্ট সংখ্যক পিঁপড়ে ও অন্যান্য জীবন্ত বস্তু থাকবে।

জৈব পদার্থ প্রয়োগে মাটির সমৃদ্ধি:- গ্লাইরিসিডিয়া, সুবাবুল, সজনে প্রভৃতির নরম
ডালপালা ও পাতা সবুজ সার হিসাবে কাজ করে। কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট, গবাদি পশুর মল-মূত্র, জীবাণুসার, ফসলের অবশিষ্টাংশ ইত্যাদি জৈবসারের মূল উৎস। এছাড়া গোরুর মূত্র, ভার্মিওয়াশ, তরল সার প্রভৃতি প্রতিটি ফসলে 2/3 বার প্রয়োগ করা যায়।

তন্ডুলশস্য ও ডালশস্যের যৌথ চাষ: আমন ধান, আউশ ধান, ভুট্টা প্রভৃতির সাথে ডালজাতীয় ফসল লাগানো হয়। মূল জমির 60 শতাংশ জমিতে তন্ডুলশস্য ও 40 শতাংশ জমিতে 2 টি ডালশস্য ফালিতে লাগানো যাবে। 15/20 কুইন্টাল কম্পোস্ট, 500কেজি কেঁচো সার ও 100কেজি রক ফসফেট একর প্রতি মাটিতে মেশানো হয়। জীবাণুসার বীজ ও মাটিতে প্রয়োগ করা হয়। আগের ফসলের অবশিষ্টাংশ তরল সারে মাখিয়ে বীজ বোনার পর মাটির ওপব আচ্ছাদন দেওয়া হয়। আগাছা তুলেও আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ফসলে সেচ বা বৃষ্টির পরে মোট 3/4 বার 200লিটার করে তরলসার একর প্রতি প্রয়োগ করা হয়। প্রতিটি ফসলে 2/3 বার গোরুর মূত্র বা ভার্মি ওয়াশ স্প্রে করা হয়। রবি মরশুমে প্রথমে একটি স্বল্পমেয়াদী শাকজাতীয় ফসল তুলে নিয়ে তারপর গম লাগানো যেতে পারে। সবজির পরিবর্তে গম ও ডালজাতীয় ফসল। একসঙ্গে চাষ করা যায়। গম চাষ করা হলে খরিফ মরসুমের মতো একই সার ব্যবহার করা হয়। সবজি চাষের সময়, 500 কেজি সরষের খোল গুঁড়ো, 100কেজি নিম খোল, 50 কেজি রক ফসফেট একর প্রতি ব্যবহার করা হয়। মাটি তৈরী হয়ে গেলে 3/4 বছর পর কম্পোস্টের ব্যবহার অর্ধেক কমিয়ে দেওয়া যাবে।

2) মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:- মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণও জৈব কৃষির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মাটির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে জল বাষ্প হয়ে উবে যায়। মাটিস্থিত উদ্ভিদ খাদ্যের গ্যাসীয় অপসারণ ঘটে এবং গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। এজন্য মাটি সর্বদা ঢেকে রাখতে হয়। ফসলের মাদা ফসলের অবশিষ্টাংশ দিয়ে ঢেকে রাখা এবং ঘন পাতাযুক্ত গুল্ম জাতীয় ফসল লাগিয়ে ঢেকে রাখা যেতে পারে।

3) ভূমি ও বৃষ্টির জল সংরক্ষণ:- মাটি ও জল সংরক্ষণ জরুরি। চোঁয়ানো জল সংরক্ষণের জন্য পুকুর খনন, ঢালের আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়া ও ফসল চাষ, খামারে পুকুর খনন, আলে অল্প উচ্চতার গাছ লাগানো প্রভৃতি কাজ করা প্রয়োজন।

4) সৌর শক্তির সর্বাধিক ব্যবহার সূর্য :-সকল শক্তির উৎস, সৌর শক্তিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা জরুরি। সৌর শক্তি গাছের পাতায় খাদ্য তৈরি করে আবদ্ধ হয়। বিভিন্ন ফসল ও গাছপালার মাধ্যমে সারা বছর খামারকে সবুজ আচ্ছাদনে মুড়ে রাখার মাধ্যমে সৌর শক্তিকে আবদ্ধ করা যায়।

5) কৃষির উপকরণ তৈরিতে স্বনির্ভর হওয়া:- নিজের বীজ নিজেই উৎপাদনের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ফসলের পুষ্টি সাধনের জন্য আর্বজনা ও কম্পোস্ট সার তৈরি, কেঁচোসার তৈরি, সবুজ সার তৈরি, গোবর গ্যাস সার, তরল সার, গাছ গাছড়ার নির্যাস যুক্ত সার প্রভৃতি তৈরি করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ফসল রক্ষায় ঘরোয়া উপায়ে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করা দরকার। খামারের ৩-৫ শতাংশ স্থান গোয়াল, কম্পোস্ট, ভার্মিবেড প্রভৃতি তৈরির জন্য রাখতে হয়। এগুলি গাছের ছায়ায় করার জন্য উপযোগী সুবাবুল, সজনে ইত্যাদি গাছ লাগানো

যেতে পারে। খামারের বিভিন্ন স্থানে নিম, আতা, কুল, তেঁতুল, সজনে, আমলকি লাগানো যায়। দুটো গাছের ফাঁকে মাদার, ধুতুরা, বাসক, ঢোলকলমি বা দুধকলমি প্রভৃতি লাগানো যায়। উদ্ভিদজাত কীটনাশক তৈরিতে এগুলি কাজে লাগে।

6) বন্ধু পোকা-মাকড়ের সংরক্ষণ :-পরিবেশে ফসলের ক্ষেতে যেমন ক্ষতিকারক পোকামাকড় আছে, তেমনই আছে বন্ধু পোকামাকড়, মাকড়সা, বোলতা, টিপপোকা, লম্বাওঁড় ঘাস ফড়িং, বিবিঝ ফড়িং, বড় ফড়িং, জলের পোকা, উচ্চিংড়ে, বোতল পোকা ইত্যাদি। যথেচ্ছ কীটনাশক প্রয়োগ করে এদের মেরে না ফেলে সংরক্ষণ করলে প্রাকৃতিক নিয়মেই রোগ-পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

উপকারী জীবাণু ও পোকার ব্যবহার: ট্রাইকোগ্রামা, ক্রাইসোপারলা'র মতো পোকা এবং সিউডোমোনাস, ট্রাইকোডার্মা'র মতো রোগ জীবাণু বাইরে থেকে প্রয়োগ করে বহুবিধ রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

7) ঘরোয়া গাছগাছড়ার মাধ্যমে শস্য সুরক্ষা:- তামাক পাতা, রসুন, তিতাপাটের বীজ, করঞ্জা, নিম, নিশিন্দা, আতাপাতা, ভাটিপাতা ইত্যাদি ফসলের নানারকম রোগপোকা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পাশাপাশি পরিবেশ-এর কোন ক্ষতি হয় না বা জৈব কৃষি পণ্যে থেকে যাওয়া বিষক্রিয়া (Residual toxicity) পাওয়া যায় না।

8) ফোরোমান ফাঁদ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা:- ফোরোমোন ফাঁদ পেতে এবং তাতে সুনির্দিষ্ট কীট শত্রুর 'লিওর' লাগিয়ে একদিকে যেমন ঐ ক্ষেতে কীট শত্রুর সংখ্যা নিরুপণ করা যায়, অন্যদিকে তেমনই কীটশত্রু নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হয়। আলোক ফাঁদ, ফাঁদ ফসলের চাষ, মিশ্রচাষ, বেড়া ফসলের চাষ, হলুদ রং এর ড্রাম বা বোর্ড আঠালো পদার্থ মাখিয়ে লাগানো ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই কীটশত্রু ও রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

রোগ-পোকার জৈব নিয়ন্ত্রণ :-

ফসলের ক্ষতিকর রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতার ফলে রোগ-পোকার মধ্যে গড়ে উঠেছে প্রতিরোধ ক্ষমতা, উৎপন্ন ফসলের মধ্যে থেকে যাচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক অবশেষ এবং সর্বোপরি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। রাসায়নিক ওষুধের থেকে যাওয়া বিষক্রিয়া (Residual Toxicity) উৎপন্ন ফসলের গুণমান কমিয়ে দেয়। ওই ফসল থেকে মানুষ ও গবাদি পশু নানারকম রোগব্যাধির শিকার হয়। সম্প্রতি আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ এবং গোরুর দুধেও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের অবশেষ পাওয়া গেছে। অনেক সময় এ থেকে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হতে দেখা গেছে। রাসায়নিক প্রয়োগের পলে বায়ুদূষণের সঙ্গে সঙ্গে কেঁচো জাতীয় প্রাণিকুলও আজ বিলুপ্তপ্রায়। রাসায়নিক প্রয়োগে রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণের একমাত্র বিকল্প হলো জৈবিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণ। তাই, পরিচর্যা ও যান্ত্রিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জোর দিতে হবে জৈবিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণের ওপর। প্রকৃতিতে যেমন ফসলের অনিষ্টকারী রোগ পোকার অভাব নেই তেমনই ওইসব রোগ পোকার শত্রু রোগপোকারও অভাব নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই প্রকৃতিতে ওইসব রোগ পোকার শত্রু রয়েছে। বরং বলা যায়, দ্বিতীয় শ্রেণীর সংখ্যা ও প্রভাবই বেশি। ভালোভাবে চিনে নিয়ে ওই সমস্ত বন্ধু রোগ পোকার সুরক্ষা, বংশবৃদ্ধি ও ব্যবহারই জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মূল কথা। ধানের কথাই ধরা যাক, ধানের ক্ষতিকর কীটশত্রু হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র (মাজরা, পামরি, ভেঁপু পাতামোড়া, চুঙ্গী, শোষক, শ্যামা, গন্ধী ও ল্যাদা পোকা)। অথচ এইসব অনিষ্টকারী পোকার শত্রু পোকা যেমন, বোলতা, মাছি, মাকড়সা, বিট্ল, মিরিড্ বাগ, লম্বা শুঁড় ঘাসফড়িং ইত্যাদি। অনেক বেশি এবং এদের সংখ্যাও প্রকৃতিতে অনেক বেশি। এদের মোটামুটি তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা, পরভোজী, পরজীবী এবং রোগজীবাণু।

বর্তমানে রাসায়নিক কীটনাশকের নানারকম ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন উদ্ভিদজাত কীটনাশক প্রয়োগে কীটশত্রু নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নিম, তামাক, ধুতুরা, চন্দ্রমল্লিকা, করঞ্জা, থুজা, রসুন, বাগানবিলাস, জোয়ার ইত্যাদি গাছের নির্যাস থেকে কীটনাশক তৈরী করা হয়। অনেক দেশী-বিদেশী সংস্থা এদিকে নজর দেওয়ায় নানারকম কীটনাশক বাজারে এসেছে এবং কার্যকরীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলি রাসায়নিকভাবে সুস্থিত, আলোক সংবেদনশীল নয়, গুদামজাত করে রাখার উপযোগী, সহজে তৈরী করা যায় এবং প্রায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ও পরিবেশ-অনুকুল কীটনাশক।

জৈব রোগ-পোকা নাশক শুধু যে পরিবেশের পক্ষে স্বাস্থ্যকর তা-ই নয়, এর জন্য খরচও অনেক কম লাগে, কম খরচে অধিক লাভ পাওয়া যায়, লক্ষ্যবস্তু (Target) ছাড়া অন্য কারও ক্ষতি করে না, জৈবসার সহ অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে মিলেমিশে কার্যকরী হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!