১৮তম পিএম কিষানের টাকা ৫ই অক্টোবর ২০২৪ কারা পাবেন এবং যোগ্যতার শর্তাবলী
পিএম কিষান (PM-KISAN) স্কিমের ১৮তম কিস্তির টাকা ৫ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে যেসব কৃষকেরা পাবেন, তাদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। এই স্কিমের অধীনে সরকার প্রতি বছর ৬,০০০ টাকা কৃষকদের সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তিনটি কিস্তিতে প্রদান করে। ১৮তম কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য নিচের শর্তগুলো পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
যোগ্য কৃষকেরা পাবেন:
ভারতের নাগরিক হওয়া: কেবলমাত্র ভারতীয় কৃষকরাই এই স্কিমের অধীনে সুবিধা পাবেন।
কৃষি জমির মালিকানা : যেসব কৃষকেরা নিজস্ব কৃষি জমি ব্যবহার করছেন, তারা এই স্কিমের জন্য যোগ্য।
eKYC সম্পন্ন করা : পিএম কিষানের সুবিধা পাওয়ার জন্য eKYC বাধ্যতামূলক। eKYC না করালে ১৮তম কিস্তির টাকা পাওয়া সম্ভব হবে না। যারা এখনও eKYC সম্পন্ন করেননি, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা করতে হবে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আধার সংযুক্তিকরণ :
কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবশ্যই তাদের আধার নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। যদি আধার এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত না থাকে, তবে কিস্তির টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে না।
ভূমি নথি যাচাই :
কৃষকদের জমির নথিপত্র, যেমন পাট্টা, জমির রেকর্ড ইত্যাদি সঠিকভাবে আপডেট করা থাকতে হবে। জমির মালিকানা যাচাই করেই টাকা প্রদান করা হবে।
অযোগ্যতার শর্ত :
সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগী: কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের নিয়মিত চাকরিজীবী ও পেনশনভোগীরা এই স্কিমের অধীনে টাকা পাবেন না।
আয়কর প্রদানকারী : যারা আয়কর প্রদান করেন, তাদের পিএম কিষান স্কিমের অধীনে টাকা পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
পেশাদার ব্যক্তি: চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, স্থপতি ইত্যাদি পেশাদার ব্যক্তিরাও এই স্কিমের সুবিধাভোগী হতে পারবেন না।
অন্যান্য বিশেষ শর্তাবলী :
যদি কোনো কৃষক তাদের জমি বিক্রি করে দেন, তবে তারা এই স্কিমের সুবিধা পাবেন না।
যদি কৃষকের মৃত্যুর পরে জমি উত্তরাধিকারীরা দখলে নেন, তবে উত্তরাধিকারীদের নাম সরকারি নথিতে আপডেট করতে হবে।
যেসব কৃষক উপরের শর্ত পূরণ করেছেন, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৮তম কিস্তির টাকা ৫ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে জমা হবে।
আরও পড়ুন 👇
১৮ তম টাকা ৫ ই অক্টোবর কারা পাবেন আর কারা পাবেন না আসুন জেনে নি। কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম প্রকল্পের মধ্যে পিএম কিষান হল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। খুশির কথা হল এই অর্থ চাষী ভাইদের জন্য অনেকটাই আছে। আবার দুঃখের বিষয় হল এই এইবারে বেশ কিছু সংখ্যক চাষী এই আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। কি কারণে আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন আসুন জেনে নিন বলে রাখা ভালো কেন্দ্রীয় সরকারের জনকল্যাণমূলক এই প্রকল্পটি ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষীদের কাছে এক আশীর্বাদ স্বরূপ।
এই অর্থ সাধারণভাবে আঁধার এর উপর নির্ভর করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। বলা যেতে পারে আধার কার্ড ধরে আর্থিক সহায়তা প্রদান যেটি ডিবিটি [DBT] এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
এইবারে ১৮তম আর্থিক সহায়তা আসুন জেনে নি।
প্রথমত: যাদের ই কে ওয়াই সি করা নেই [EKYC]
দ্বিতীয়ত: যাদের ব্যাংকের সঙ্গে আধার লিঙ্ক, বা ডিবিটি লিংক করা নেই, বা এন পি সি আই ম্যাপিং করা নেই, বা যাদের একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, বা যাদের একাউন্টে কেওয়াইসি করা নেই
তৃতীয়ত: যাদের ল্যান্ড সেডিং করা নেই [Land seeding]
চতুর্থ : যারা ভুল করে [ voluntary surrender] করে ফেলেছেন
পঞ্চমত : যারা ইনকাম ট্যাক্স ফাইল এর আওতায় চলে এসেছেন [Income Tax]
ষষ্ঠত :যারা ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের মধ্যে পড়ে গেছেন অর্থাৎ ভেরিফিকেশনে আপনার তথ্যটি যদি গ্রহণযোগ্য না হয়
সাধারণত এইসব কারণে জন্য আপনি বা আপনারা আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।