পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা শস্য বীমার জন্য আবেদন করতে পারেন বাংলা শস্য বীমা (BSBY) বা রাজ্য সরকারের শস্য বীমা স্কিমের আওতায়। এখানে শস্য বীমার আবেদন করার পদ্ধতি দেওয়া হলো:
১. সরাসরি আবেদন:
আপনি সরাসরি স্থানীয় কৃষি অফিসে গিয়ে শস্য বীমার জন্য আবেদন করতে পারেন। কৃষি অফিসে আবেদন ফর্ম পাওয়া যায় যা আপনি পূরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে।
২. অনলাইন আবেদন:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগের ওয়েবসাইটে শস্য বীমার জন্য অনলাইন আবেদন করার সুবিধা রয়েছে। আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
1. ওয়েবসাইটে যান:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগের [আধিকারিক ওয়েবসাইটে](https://matirkatha.net/) যান।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর বাংলা শস্য বীমা (BSBY) বা অন্যান্য শস্য বীমার সম্পর্কিত তথ্য খুঁজুন।
2. রেজিস্ট্রেশন করুন:
নতুন ব্যবহারকারী হলে, প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নাম, ঠিকানা, আধার কার্ড নম্বর, জমির বিবরণ ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।
3. আবেদন ফর্ম পূরণ করুন:
ফর্মটি পূরণ করুন এবং জমির বিবরণ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
আপনার ফসল, জমির পরিমাণ, এবং বীমার ধরণ নির্বাচন করুন।
4. নথি আপলোড করুন:-
প্রয়োজনীয় নথি, যেমন জমির কাগজপত্র, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, ইত্যাদি আপলোড করুন।
5. ফি জমা দিন:আলু:
বীমার জন্য প্রয়োজনীয় প্রিমিয়াম অনলাইনে পরিশোধ করুন।
6. নিশ্চিতকরণ:-
আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি রসিদ বা রেফারেন্স নম্বর পাবেন, যা ভবিষ্যতে ব্যবহার করতে পারবেন।
আবেদন প্রক্রিয়ার শেষে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করবে এবং বীমার কভারেজ অনুমোদন করবে।
পশ্চিমবঙ্গে শস্য বীমার আওতায় বেশ কিছু প্রধান ফসল রয়েছে। এই শস্যগুলির জন্য বীমা করা যায়:
১. ধান (Aman, Aus, Boro):
পশ্চিমবঙ্গে ধান প্রধান শস্য। আমন, আউস, এবং বোরো ধান বীমার আওতায় আসে।
২. গম:
পশ্চিমবঙ্গে রবি মরসুমে গমের চাষ হয় এবং এই শস্যও বীমার আওতায় আসে।
৩. আলু:
আলু চাষের জন্যও বীমা করা যায়।
৪. পাট:
পাটের চাষ ব্যাপকভাবে হয় এবং পাট শস্যও বীমার আওতায় রাখা হয়েছে।
৫. তিল:
তিল, যা খাদ্য তৈল শস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ, বীমার আওতায় আসে।
৬. সরিষা:
সরিষা শস্যের জন্যও বীমা করা যায়।
৭. আখ:
আখ চাষের জন্যও বীমার ব্যবস্থা রয়েছে।
৮. ভুট্টা:
ভুট্টা চাষের জন্যও বীমা করা যায়।
৯. রাগি:
রাগি (Millets) শস্যের জন্যও বীমা প্রযোজ্য।
১০. চিনা:
চিনা (small millets) চাষের জন্যও বীমা করা যায়।
১৩. মুসুর:
মুসুর ডাল চাষের জন্য বীমা করা যায়।
এছাড়াও, বিভিন্ন বীজ বীমার আওতায় আসতে পারে যা নির্দিষ্ট অঞ্চলের কৃষি বিভাগের নির্দেশিকা অনুযায়ী অন্তর্ভুক্ত হয়। এই ফসলগুলির জন্য বীমা পেতে হলে প্রাসঙ্গিক কৃষি দফতরে যোগাযোগ করতে হবে বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।